• বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত জামালপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তওহীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ভূমি উদ্ধারের দাবী কৃষকদের জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে তরুণ এবং নারী উদ্যোক্তার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক ১২দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন জামালপুরে দোস্ত এইট বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা প্রদান জামালপুরে এলডিবি মনোনীত জামালপুর সদর আসনে এমপির প্রার্থী আলহাজ্ব মুহাম্মদ  মাসুদ হোসাইনের গণ সংযোগ  মাউশির ডিজি কর্মরত থাকা অবস্থায় ডিজি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবীতে জামালপুরে মানববন্ধন জামালপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন বকশীগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসবে সাঁতর প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফকে গ্রেফতার ও নির্যাতন: দেশজুড়ে প্রতিবাদ

জেএম নিউজ ডেক্স :

টাস্কফোর্স অভিযানের নামে মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙে মারধর করে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে তুলে নিয়ে যেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে এসব তথ্য ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সাংবাদিকরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রেস ক্লাবের বৈঠক থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টায় ডিসি অফিসের দুই-তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকেই আরিফুল ইসলামকে উদ্দেশ করে ‘তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস’ বলে মারধর শুরু করে এবং তুলে নিয়ে যায়। রাত ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। পরে আরিফের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে তারা। তবে আরিফের স্ত্রী জানিয়েছেন, সেসময় ঘরে কোনও তল্লাশিই চালানো হয়নি। দরজা ভেঙে আরিফকে মারধর করে তুলে নিয়ে গেছেন তারা।

শনিবার (১৪ মার্চ) কারাগারে আরিফের সঙ্গে দেখা করে আসার পর তার স্ত্রী মোস্তারিমা নিতু বলেন, ‘আরিফ জানিয়েছেন, রাতে তাকে মারধর করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তার কাপড় খুলে দু’চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পুরো দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে সেসময়।’

মোস্তারিমা সরদার নিতু আরও জানান, ‘আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। তিনি ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার মতো শক্তি ছিল না তার।’

এদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর ন্যাক্কারজনক নির্যাতন ও কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কুড়িগ্রামসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

কুড়িগ্রাম, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সংগঠক, শিক্ষক এবং রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সভাপতি নাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘এখানকার একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক উনি (আরিফুল ইসলাম)। উনার ওপর হামলাকে আমরা বাক স্বাধীনতার ওপর হামলা বলে মনে করছি। আরিফুল ইসলামকে আমরা নিজেদের (স্থানীয়দের) মুখপাত্র বলেই মনে করি, তিনি সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন। তার ওপর এই হামলাকে আমরা কুড়িগ্রামবাসীর ওপর আঘাত বলেই মনে করছি। ডিসির এই আইনবিরোধী কাজে আমরা ক্ষুব্ধ।’ এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন তিনি।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুড়িগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস বলেছেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিচ্ছি আমরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব, স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।’

এছাড়াও কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করেছে জেলার নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকরা। এসময় বক্তারা বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আনসার সদস্যদের নিয়ে আরিফুলের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই মারধর করে। এরপর আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মাগুরা: এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাগুরার সাংবাদিকরা। মাগুরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ খান বলেন, ‘একজন সাংবাদিককে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে  যাওয়া এবং তার প্রতি শারীরিক নির্যাতন দুঃখজনক। প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, মাগুরার সভাপতি অলোক বোস বলেন, ‘এটি সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি অশনিসংকেত।’

নীলফামারী: জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিল্লাদুর রহমান মামুন জানান, দুর্নীতি ঢাকতে জেলা প্রশাসক একজন সংবাদকর্মীকে রাতের অন্ধকারে সাজা দিয়েছেন। নীলফামারী টেলিভিশন ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নীলফামারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাহমিনুল হক ববি জানান, একটি নিউজের জন্য একজন জেলা প্রশাসক বেআইনিভাবে এই কাজ করতে পারে না। এটা ডিসির ব্যক্তিগত আক্রোশ। আরিফুলকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা বলেন, ‘সাংবাদিক আরিফকে মুক্তি দিয়ে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করছি।’ এর সঙ্গে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্তের দাবি করেন তিনি। টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক ছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

নারায়ণগঞ্জ: তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন স্মিথ এক বিবৃতিতে জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত প্রশাসনের সেই কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাই।

ময়মনসিংহ: এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও মূল ঘটনা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এ জেড এম ইমাম উদ্দিন মুক্তা।

এছাড়া ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবুল হোসেন জানান, অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে আরিফুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে এক সংবাদদাতা জানান, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

লক্ষ্মীপুর:

কুড়িগ্রামের ডিসিকে প্রত্যাহার এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২ টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে তাংক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করা হয়। সভায় বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল। জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক  সাইফুল ইসলাম স্বপন এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি ফেরদৌস বেগম নয়ন, দৈনিক কালের প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মাকসুদ,  প্রেসক্লাব  ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক ও সমকাল ৭১ টিভির সাংবাদিক আতোয়ার রহমান মনির, প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শিবলু, দৈনিক উপকূল পত্রিকার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জহির উদ্দিন, অনলাইন র্শীষ সংবাদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জয়, দৈনিক বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি রাকিব হোসেন রনি, দৈনিক তথ্যধারার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বাবুল, দৈনিক সমাচারের জেলা প্রতিনিধি  নুরুল আমিন শিকদার, জেটিভির জেলা প্রতিনিধি  রুবেল হোসেনসহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এ ঘটনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর  নগ্ন হস্তক্ষেপ।  অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে  নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত কুড়িগ্রামের ডিসি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।

জয়পুরহাট:

এই ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছেন জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা। শনিবার দুপুর ২টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি আলমগীর চৌধূরী। বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, সহ-সভাপতি ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি খ.ম আব্দুর রহমান রনি,নির্বাহী সদস্য যুগান্তর ও এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সিরাজ মিঠু, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এরশাদুল বারী তুষার, ইনকিলাবের মোহাম্মদ আবু মুসা, ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি শামিম কাদিরসহ অন্যরা।

ঝিনাইদহ: তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলাসহ ছয় উপজেলার সাংবাদিকরা।

যশোর: যশোরের সাংবাদিকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এই ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

যশোর প্রেস ক্লাব সম্পাদক আহসান কবীর বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের মতো দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত।’ তিনি অবিলম্বে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার এবং সাংবাদিক আরিফুলের মুক্তি দাবি করেছেন।

যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান বলেন, ‘গভীররাতে বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ, স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে মারধর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা রীতিমতো বিস্ময়কর।’

সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান বলেন, ‘সরকার একদিকে বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আবার দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হলে মারধর করে জেলে পাঠানোর মতো ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে।’

যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনকারী ওই জেলা প্রশাসকের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোরের আহ্বায়ক সাকিরুল কবীর রিটন বলেন, ‘সত্য সংবাদ প্রকাশে একজন সরকারি কর্মকর্তার এই ধরনের আচরণ উদ্বেগের কারণ।’

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোর জেলার সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমরা ওই জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার দাবি করছি, পাশাপাশি সাংবাদিক আরিফুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি চাইছি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফরুল আলম জানান, আইনের লোক হয়ে গভীর রাতে বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে এসে ডিসি অফিসে সাজা দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা আরও স্পষ্ট, মাদকের যে উপকরণ দেখানো হয়েছে তা আশপাশের কেউ দেখেনি। কাজেই ব্যক্তি আক্রোশেই যে এটা করা হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

জেলা প্রেস ক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হুদা অলক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সিটি প্রেস ক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের সভাপতি সাজেদুল হক সাজু জানান, ‘এ ধরনের কাজ মাঠপর্যায়ে সরকার ও প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা কমায়।’

বরগুনা:  বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরি সভার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরাম ও বরগুনা জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম।

প্রেস ক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ, সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন শীল, মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ রিংকু প্রমুখ।

বরগুনা জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুমন সিকদার বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া ঘরের দরজা ভেঙে মারধর করে তাকে তুলে আনার পেছনের ঘটনা ও এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ বলেন, ‘পুলিশ ছাড়া আনসার সদস্য নিয়ে একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে তুলে এনে সাজা দেওয়ার তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।’

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ঘটনা আমাদের সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী দিনে আরও কর্মসূচি প্রদান করা হবে।’

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।